বীর্য ঘন ও আঠালো করার পরীক্ষিত উপায়
যৌন মিলনের সময় সঙ্গীনির কাছে লজ্জা পেতে হয় দ্রুত বীর্যপাতের ফলে। প্রায় ৯৯% পুরুষ দ্রুত বীর্যপাতের কারণ হিসেবে বীর্য পাতলা হওয়াকে দায়ী করে। বীর্য ঘন করার অনেক উপায় বিভিন্ন বইপুস্তকে এবং ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। তবে সবগুলো উপায় কার্যকরী না হতে পারে। অনেক রোগীরাই আমাদের ম্যাসেজ্ঞারে জানিয়েছে ওয়েবসাইট থেকে কন্টেন্ট পড়ে সেগুলো মেনে চললেও বীর্য ঘন হয় ন। যার কারণে আমরা বিভিন্ন রোগীদের নিকট পরীক্ষামূলকভাবে চিকিৎসা চালিয়ে সবগুলো উপায়ে ১০০% সফলতা পাই। যেকোনো রোগেরই সঠিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসায় ১০০% সুস্থতা কামনা করা যায়।
বীর্য পাতলা হওয়ার কারণঃ-
বীর্য ঘন করার জন্য চিকিৎসা গ্রহণ করার আগে আপনাকে জানতে হবে বীর্য কেন পাতলা হয়। যদি এই উভ্যাসগুলো আপনার মধ্যে মিল পান অবশ্যই সেগুলো পরিত্যাগ এবং নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাছাড়া ১০০% ফলাফল আশা করা যাবে না।
- হস্তমৈথুন অভ্যাস।
- অনিয়মিত সহবাস।
- উত্তেজনামুলক চিন্তাভাবনা।
- পর্ণ ভিডিও, চটি বই পড়া।
- অধিকহারে রাত জাগা।
- মাদকাসক্ত।
চিকিৎসা নেওয়ার আগে নিজের সাথে মিলিয়ে নিনঃ-
বীর্য ঘন ও গাঢ় করতে ঔষুধ তৈরি করে সেবনের পূর্বে আপনার যদি নিম্ন বর্ণিত সমস্যাগুলো থাকে তাহলে দ্রুত ফলাফলে জন্য আগে এই সমস্যাগুলো চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
- পায়খানা নিয়মিত।
- নিয়ন্ত্রিত গ্যাস।
- বয়স কিশোর থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত।
- সমস্যার ধরণ- দ্রুত বীর্যপাত, বীর্য ঘন, লিঙ্গ নরম, সহজে দাঁড়াতে চায় না, দ্রুত নিস্তেজ হওয়া।
নোটঃ যদি পায়খানা অনিয়মিত হয়, তাহলে চিকিৎসার পূর্বে পায়খানা নিয়মিত করার ঔষুধ সেবন করুন। গ্যাসের সমস্যা থাকলে ০৭ দিন সকালে খালিপেটে কাঁচা আদার টুকরো চিবিয়ে সাথে ১ গ্লাস পানি খাবেন। তারপর বীর্যঘন করার চিকিৎসা নিবেন।
বীর্য ঘন ও গাঢ় করার ঘরোয়া চিকিৎসা
১। কাঁচা রসুনের কোয়াঃ
কাঁচা রসুনকে গবীবের পেনিসিল বলা হয়। প্রতিদিন যেকোনো সময় দিনে ২বার কাঁচা রসুনের কোয়া চিবিয়ে খাবেন। এতে আপনার লিঙ্গের মধ্যে রক্তচলাচল বৃদ্ধি পাবে। ফলে লিঙ্গ শক্ত হবে, সহজে নিস্তেজ হবে না। বীর্যপাত ঘটার পরেও আপনি অনায়াসে সহবাস চালিয়ে যেতে পারবেন দীর্ঘ সময় ধরে। তাছাড়া কাঁচা রসুন বীর্য ঘন ও গাঢ় করতে সহায়তা করে। আমাদের অনেক রোগীই শুধুমাত্র কাঁচা রসুনে কোয়া খাওয়ার পরেই বর্তমানে সুস্থ।
দ্রুত উপকার পেতে কাঁচা রসুনের কোয়ার সঙ্গে এক চামুচ খাঁটি মধু খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত কাঁচা রসুনে কোয়া সেবনের ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। প্রথমে ১০/১২ দিন কাঁচা রসুনের কোয়া নিয়মিতভাবে সেবন করবেন। সর্বোচ্চ ২০ দিনের মধ্যেই আপনার বীর্য এর ঘনত্ব আপনি বুঝতে পারবেন। বীর্য সুস্থ রাখার জন্য ১মাস পর পর একই নিয়মে খেতে পারেন।
রসুনের পেস্ট তৈরির প্রস্তুত প্রণালীঃ
১। বড় সাইজের কোয়া হলে ৭/৮টি কোয়া অথবা ছোট সাইজের রসুনের কোয়া হলে ১০টি কাঁচা রসুনের কোয়া নিয়ে ব্লেন্ডারে ভালোভাবে রস বের করুন।
২। রসুনের রস একটি বাটিতে রেখে তার সঙ্গে ৩ চামুচ খাওয়ার কালো জিরার তেল দিন।
৩। তিন চামুচ খাঁটি মধু দিন এবং ভালোভাবে মিশ্রণ তৈরি করুন।
রসুনের পেস্ট তৈরি হয়ে গেলে প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ২ চামুচ এবং যৌন মিলনের ১০ আগে দুই চামুচ সেবন করবেন। তাহলে বাজারের দীর্ঘস্থায়ী মিলনের ওয়ানটাইম ট্যাবলেটের চেয়েও দ্বিগুণের অধিক কাজ করবে।
সতর্কতাঃ খালি পেটে রসুনের কোয়া সেবনের ফলে গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে। তাই রসুকের কোয়া খাওয়ার পরপর ১/২ গ্লাস পানি পান করুন। বুক অতিরিক্ত জ্বালাপোড়া করলে কাঁচা রসুনের কোয়া সেবন থেকে বিরত থাকবেন এবং নিচের যেকোন একটি বীর্য ঘন করার উপায় বেছে নিবেন বা সবগুলো উপায় অনুসরণ করতে পারবেন।
২। খেজুর চূর্ণ ও মধুঃ-
যেসকল পুরুষদের লিঙ্গ সহজে উত্তেজিত হতে চায় না তাদের জন্য খেজুর ও মধু অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ। আমরা জানি খেজুর ও মধুতে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন প্রকারের ভিটামিন রয়েছে। যৌন মিলনের পূর্বে আজওয়া খেজুর ও এক চামুচ মধু সেবন করার ৩০ মিনিট পরে যৌন মিলন করলে সহজে বীর্যপাত ঘটবে না। তাছাড়া প্রতিদিন সকালে খালিপেটে একটি আজওয়া খেজুর ও ১ চামুচ মধু এবং ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে ১/২টি আজওয়া খেজুর ও ১ চামুচ মধু সেবন করলে ইনশাআল্লাহ ৭ দিনের মধ্যেই আপনার বীর্য ঘন, গাঢ় হবে এবং আগের তুলনা যৌন মিলনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন। আপনি চাইলে এগুলোর পরিবর্তে খেজুরের পেস্ট ও তৈরি করে সেবন করতে পারেন। তাহলে আরোও দ্রুত ফলাফল পাওয়া যাবে।
নোটঃ আজওয়া খেজুর এর পরিবর্তে যেকোনো খেজুর (মদিনা) খেতে পারেন। তবে দ্রুত বীর্য ঘন করতে আজওয়া খেজুর সবচেয়ে উত্তম। অতিরিক্ত পরিমাণে মধু সেবনের ফলে পায়খানা অনিয়মিত হতে পারে। তাই ১ চামুচ এর বেশি খাওয়া হতে বিরত থাকুন।
খেজুরের হালুয়া প্রস্তুতপ্রণালীঃ
১। ১/২ কেজি খোরমা খেজুর ক্রয় করে আসার পরে সবগুলোর খেজুরের বিচি বের করুন এবং কড়া করে রোদে শুকিয়ে নিন।
২। শুকানো হলে ব্লেন্ডার বা যেকোন মেশিন দিয়ে খেজুর পাউডার করুন।
৩। খেজুরের পাউডার হলে সেগুলো একটি বাটিতে নিয়ে তার সঙ্গে ২/৪ চামচ সবরি কলা, ২/৩ চামুচ খাটি মধু একত্রে নিয়ে হাত দিয়ে কসলিয়ে খামিরের মত তৈরি করুন।
খাওয়ার নিয়মঃ
প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ২ চামুচ এবং সহবাসের ১০ মিনিট পূর্বে অথবা রাতে ঘুমাতে যাওয়া আগে খেজুরের পেস্ট সেবন করবেন।
খেজুরে পেস্ট তৈরি করে প্রতিদিন সেবন করলে বীর্য ঘন হবে এবং দ্রুত বীর্যপাত ঘটবে না।
৩। বীর্য ঘন করার শরবতঃ
যৌবন সারাজীবন ধরে রাখার জন্য এই শরবরেত ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই শরবত তৈরির জন্য প্রয়োজন ইশবগুলের ভূষি, তকমা, তালমাখনা, তালমিস্রি এবং খাঁটি গুড়। এই শরবত সেবনের ফলে আপনার শরীর ঠান্ডা থাকবে এবং বীর্য ঘন হবে। যৌবন সারাজীবন ধরে রাখতে হলে এই শরবত প্রতিদিন সেবন করতে থাকুন।
প্রস্তুতপ্রণালীঃ
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গ্লাসের ৩/৪ ভাগ পানি দিয়ে একচামুচ ইশবগুলের ভূষি দিন, সাথে এক চামুচ করে তকমা, তালমাখনা ও তেঁতুলের বিঁচির গুঁড়া দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেগুলোর সাথে গুড় মিশিয়ে ভালোভাবে নাড়ুনী দিন। শরবত দেখতে গাঢ় ও ঘন হলে খালি পেটে খেয়ে নিন।
৪। মেথির চাঃ
মেথি সম্পর্কে আমরা প্রায় সকলেই জানি। মেথি বিভিন্ন রোগের জন্য বিভিন্ন নিয়মে খেতে হয়। রাতে ঘুমানোর পূর্বে ২ চামুচ একটি গ্লাসে মেথি ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে শুধুমাত্র মেথির পানিগুলো পান করুন। আবার সকালে একটি গ্লাসে ভিজিয়ে রাখুন এবং দুপুরে মেথির পানিগুলো পান করুন। পুনরায় দুপুরে ২ চামুচ মেথি এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং রাতে মেথির পানি পান করুন। অথবা চা পান করার সময় চায়ের কাপের মধ্যে ১ চামুচ মেথি দিয়ে পান করুন। এইভাবে কমপক্ষে ৪০ দিন পান করুন।
বিশেষজ্ঞগণ বলেন, উপরোক্তভাবে মেথির পানি পান করলে শরীরে সেক্স হরমোন শক্তিশালী হলে এবং লিঙ্গ দীর্ঘদিন দাঁড়িয়ে থাকবে। সহজেই লিঙ্গ নুইয়ে পড়বে না।
৫। বীর্য ঘন করতে আমলকি ও তিলঃ
পুরুষের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং বীর্য ঘন করার জন্য আমলকি ও তিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কালো তিল সাধারণত পুরুষদের যৌন শক্তির জন্য অনেক উপকারী। তাছাড়াও প্রতিদিন ১ চামুচ করে তিন ৩ বার আমলকীর রস খেলেও পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধি করবে।
আমলকি ও তিলের হালুয়া প্রস্তুতপ্রণালীঃ
১। আমলকি ১০০ গ্রাম ও কালো তিল ১০০ গ্রাম রোদে শুকিয়ে নিন।
২। ব্লেন্ডার বা যেকোনো মেশিন দিয়ে আমলকি ও কালো তিল এর পাউডার তৈরি করুন।
খাওয়া নিয়মঃ
প্রতিদিন যেকোনো সময় ১/২ চামুচ আলমকি ও কালো তিলের হালুয়া নিন এবং ঠান্ডা পানিসহ সেবন করুন।
এই চিকিৎসা গ্রহণের ফলে ১০০% গ্যারান্টী আপনার বীর্য ঘন, গাঢ় ও আঠালো হবে। চিন্তার কোন কারণ এইসকল ভেজস প্রক্রিয়াগুলোতে কোনো পাশ্বর্ প্রতিক্রিয়া নেই এবং এগুলো পরীক্ষিত। আমাদের উদ্দেশ্যে সাধারণ হারবাল প্রতিষ্ঠান, বা রাস্তাঘাট হতে কোনো যৌন রোগের ঔষুধ ক্রয় না বাড়িতে বসেই প্রাকৃতিকভাবে আপনার রোগ থেকে মুক্ত হোন। প্রয়োজনে বাসায় বসে এইসব ঐষুধ তৈরি করুন। যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে কমেন্ট বক্সে জানান। অথবা ম্যাসেজ করুন ফেসবুক পেজে।